রিসাইক্লিং ও সার্কুলার ইকোনমি: নতুন নিয়ম, শিল্পের বড় বদল আর আমাদের ভবিষ্যৎ

 

রিসাইক্লিং ও সার্কুলার ইকোনমি: নতুন নিয়ম, শিল্পের বড় বদল আর আমাদের ভবিষ্যৎ

আজকাল প্রায় সব পরিবেশ আলোচনাতেই একটা শব্দ শোনা যায়, সার্কুলার ইকোনমি। সহজ কথা, জিনিস বানিয়ে একটু ব্যবহার করে ফেলে না দিয়ে যতটা সম্ভব ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করা। এর ভেতর আছে রিসাইক্লিং, মেরামত, পুনঃব্যবহার, আর শুরু থেকেই এমনভাবে ডিজাইন করা যেন পরে সহজে ভেঙে আলাদা করে নেওয়া যায়।

কারণও পরিষ্কার। কাঁচামাল সীমিত, বর্জ্য বাড়ছে, জলবায়ু ঝুঁকিও তীব্র হচ্ছে। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ভারত, চীনসহ বড় বড় অর্থনীতি নতুন আইন, টার্গেট আর রিপোর্টিং নীতি নিয়ে কোম্পানিকে চাপ দিচ্ছে যাতে তারা কম বর্জ্য তৈরি করে, বেশি রিসাইক্লিং করে আর পণ্যের পুরো জীবনচক্রের দায় নেয়।

এই লেখায় তুমি জানতে পারবে সার্কুলার ইকোনমির মূল নীতি, সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুনের কয়েকটি বড় দৃষ্টান্ত, আর এসবের মানে কী ব্যবসা, কর্মসংস্থান আর আমাদের মতো সাধারণ ভোক্তাদের জন্য। শেষ পর্যন্ত তুমি বুঝতে পারবে, নিজের সিদ্ধান্ত বদলালে পরিবর্তনে তুমিও অংশ নিতে পারো।

সার্কুলার ইকোনমি কীভাবে কাজ করে এবং কেন শুধু রিসাইক্লিংই যথেষ্ট নয়

অনেকেই সার্কুলার ইকোনমি শুনে শুধু রিসাইক্লিং বোঝে। সত্যি বলতে, রিসাইক্লিং গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু পুরো ছবির কেবল এক অংশ। সার্কুলার ইকোনমি শুরু হয় ডিজাইন টেবিল থেকে, শেষ হয় পুনঃব্যবহার করা উপাদান আবার নতুন পণ্যে ঢোকার সময়।

ধরা যাক প্লাস্টিকের পানির বোতল। লিনিয়ার মডেলে কোম্পানি কাঁচামাল নেয়, বোতল বানায়, আমরা ব্যবহার করি, তারপর তা ডাস্টবিনে যায়। অনেক সময় আবার খোলা মাঠে বা নদীতে পড়ে থাকে। সার্কুলার মডেলে কী হয়? বোতল ডিজাইনই করা হয় এমনভাবে যাতে এক ধরনের প্লাস্টিক দিয়ে বানানো হয়, লেবেল আর ঢাকনাও আলাদা করা যায়, যেন সংগ্রহ কেন্দ্রে গিয়ে দ্রুত বাছাই ও রিসাইক্লিং সম্ভব হয়।

ইলেকট্রনিক্সের ক্ষেত্রেও একই বিষয়। ফোন বা ল্যাপটপ যদি স্ক্রু দিয়ে জোড়া লাগে, আঠা কম ব্যবহার হয়, ব্যাটারি সহজে খোলা যায়, তাহলে মেরামত আর পার্টস বদল করা অনেক সহজ হয়। পোশাকের ক্ষেত্রে এক ফাইবারের কাপড় (মনো-ম্যাটেরিয়াল) বেশি ব্যবহার করলে পরে তা আলাদা করা আর রিসাইক্লিংও তুলনামূলক সহজ হয়।

অর্থাৎ সার্কুলার ইকোনমি শুধু বর্জ্য কমানোর পরিকল্পনা নয়, বরং কাঁচামাল সংগ্রহ, পণ্য ডিজাইন, উৎপাদন, ব্যবহার, মেরামত, রিইউজ, রিসাইক্লিং, সব ধাপের ওপর একসাথে কাজ করার ধারণা।

লিনিয়ার থেকে সার্কুলার: ‘নেওয়া–ব্যবহার–ফেলে দেওয়া’ মডেলের বদল

লিনিয়ার ইকোনমি মানে মূলত তিন ধাপ: কাঁচামাল নেওয়া, পণ্য বানানো, শেষ হলে ফেলে দেওয়া। এই মডেলে ধরা হয় সম্পদ যেন অফুরন্ত, আর ফেলা জিনিস কোথায় গেল, তা খুব একটা ভাবা হয় না।

এখানে সমস্যার জায়গা তিনটি। প্রথমত, বর্জ্য এত বেশি হচ্ছে যে শহর আর প্রকৃতি, দুটোই চাপে পড়ছে। দ্বিতীয়ত, ধাতু, তেল, ফসফেটের মতো অনেক সম্পদ দ্রুত কমে আসছে। তৃতীয়ত, এই পুরো চক্র চালাতে যে জ্বালানি লাগে, তা জলবায়ু ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

সার্কুলার মডেলে শুরু থেকেই ধরা হয়, জিনিস একদিন ভাঙা বা অচল হবে। তাই ডিজাইন পর্যায়ে প্রশ্ন করা হয়: এটা কি খোলা, মেরামত, আপগ্রেড করা সহজ হবে? আলাদা আলাদা উপাদান কি আবার নতুন প্রডাক্টে ব্যবহার করা যাবে? Extended Producer Responsibility বা EPR নীতিতে প্রডিউসরকে বলা হচ্ছে, এই প্রশ্নগুলোর জবাব আগে ভাবো, কারণ বর্জ্য সংগ্রহ ও রিসাইক্লিংয়ের খরচও শেষ পর্যন্ত তোমাকেই দিতে হবে।

রিসাইক্লিং, রিইউজ, রিপেয়ার: সার্কুলার ইকোনমির তিনটি মূল হাতিয়ার

Recycling (রিসাইক্লিং)
এখানে পুরোনো উপাদান ভেঙে নতুন কাঁচামাল বানানো হয়। যেমন প্লাস্টিক বোতল থেকে নতুন বোতল বা ফাইবার। সমস্যা হলো, সব সময় মান একই থাকে না, আর অনেক মিশ্র উপাদান রিসাইক্লিং করাই কঠিন।

Reuse (রিইউজ বা পুনঃব্যবহার)
একই পণ্য বা প্যাকেজ বারবার ব্যবহার করা। যেমন রিটার্নযোগ্য কাচের বোতল, টিফিন বক্স, রিফিল প্যাক। এতে নতুন কাঁচামাল তুলতে হয় কম, শক্তিও কম লাগে।

Repair (রিপেয়ার বা মেরামত)
জিনিস সামান্য নষ্ট হলে ফেলে না দিয়ে ঠিক করে নেওয়া। ফোন, ফ্রিজ, কাপড়, ফার্নিচার, অনেক কিছুর জীবন কয়েক বছর বাড়িয়ে দেওয়া যায়। এতে নতুন জিনিস কেনার প্রয়োজন কমে, আর বর্জ্য তৈরি হওয়াও ধীর হয়।

শুধু রিসাইক্লিংয়ের ওপর ভরসা রাখলে বরং চাপ বাড়ে, কারণ সব উপাদান রিসাইক্লিং করা যায় না, আর অনেক সময় আলাদা করা ব্যয়বহুল হয়। তাই আগে রিইউজ আর রিপেয়ারে জোর, তারপর শেষ বিকল্প হিসেবে রিসাইক্লিং, এটিই সার্কুলার ইকোনমির সাধারণ ধাপ।

নতুন নিয়ম, আইন ও নীতি: সার্কুলার ইকোনমিকে কীভাবে চাপ দিয়ে এগিয়ে নিচ্ছে

এখন বিশ্বজুড়ে নীতি নির্ধারকেরা বার্তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন, সার্কুলার ইকোনমি আর শুধু ভালো ইচ্ছে নয়, এটা ধীরে ধীরে আইনগত বাধ্যবাধকতা হয়ে যাচ্ছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কড়া নিয়ম: সার্কুলার ইকোনমির গতি বাড়ানো

ইইউ নতুন Circular Economy Act আনতে প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হওয়ার লক্ষ্যে চলছে। এর লক্ষ্য হলো সদস্য দেশগুলোর নিয়ম এক করা, EPR আরও শক্ত করা, আর ডিজাইন পর্যায়ে রিসাইক্লিং ও পুনঃব্যবহারের শর্ত কঠোর করা।

Packaging and Packaging Waste Regulation বা PPWR অনুযায়ী, ২০২৬ থেকে প্যাকেজিংকে এমনভাবে বানাতে হবে যাতে সহজে আলাদা, সংগ্রহ ও রিসাইক্লিং করা যায়। অনেক ক্ষেত্রে ন্যূনতম রিসাইক্লড কনটেন্টও বাধ্যতামূলক হবে।

Corporate Sustainability Reporting Directive বা CSRD আবার বড় কোম্পানিকে বাধ্য করছে তাদের সম্পদ ব্যবহার, বর্জ্য, রিসাইক্লিং, সার্কুলার উদ্যোগ সব তথ্য প্রতিবেদন করতে। এর সঙ্গে ডিজিটাল ট্র্যাকিং, যেমন Digital Product Passport, যুক্ত হচ্ছে, যাতে বোঝা যায় কোন প্রডাক্টে কী উপাদান আছে, কোথায় তৈরি হয়েছে, কীভাবে রিসাইক্লিং করা যাবে। এতে স্বচ্ছতা বাড়ে, আর ভুয়া “গ্রীন” দাবি করা কঠিন হয়।

পাশাপাশি, ইইউ প্লাস্টিক বর্জ্য অন্য দেশে রপ্তানি কমানোর দিকেও যাচ্ছে, যাতে নিজ ভূখণ্ডে সংগ্রহ ও রিসাইক্লিং ব্যবস্থা শক্ত হয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স: প্লাস্টিক প্যাকেজিং, পুনঃব্যবহার আর মেরামতের দিকে ধাক্কা

যুক্তরাষ্ট্রে US Plastics Pact ২০২৫ সালের মধ্যে কয়েকটি লক্ষ্য ধরেছে, যেমন নির্দিষ্ট ধরনের অপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক বন্ধ করা, প্যাকেজিং ১০০ শতাংশ রিসাইক্লেবল, রিইউজেবল বা কম্পোস্টেবল করা, আর রিসাইক্লিং রেট উঁচুতে তোলা। অনেক অঙ্গরাজ্যে আবার নিজস্ব EPR আইন আসছে, যেখানে প্যাকেজিং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার খরচ প্রডিউসারের ওপর পড়ছে।

ফ্রান্সের AGEC আইন, Anti-Waste for a Circular Economy, খুব সরাসরি। অবিক্রীত কাপড়, কসমেটিক বা ইলেকট্রনিক পণ্য পুড়িয়ে বা ফেলে দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে, বরং দান, ডিসকাউন্ট বা রিইউজ চ্যানেলে পাঠাতে হচ্ছে। বড় খুচরা দোকানকে ধীরে ধীরে পুনঃব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং গ্রহণ ও রিফিল সিস্টেম চালু করতে বলা হচ্ছে। এতে ব্যবসা মডেলই বদলাতে হচ্ছে, কারণ কেবল একবার ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজ বিক্রি করলে আইন মানা কঠিন হয়ে যাবে।

ভারত ও চীন: দ্রুত বাড়তে থাকা বাজারে সার্কুলার নীতির গুরুত্ব

ভারত ও চীন দুই দেশই বড় উৎপাদক আর ভোক্তা বাজার, তাই প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্যের চাপও বিশাল। ভারতের Plastic Waste Management Rules অনুযায়ী, প্লাস্টিক প্রডিউসর, ব্র্যান্ড ও ইমপোর্টারদের ওপর EPR বাধ্যতামূলক হয়েছে। নির্দিষ্ট শতাংশ প্লাস্টিক সংগ্রহ ও রিসাইক্লিংয়ের টার্গেট আছে, আর কিছু একবার ব্যবহারযোগ্য পণ্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

বড় শহরগুলোতে বর্জ্য বাছাই কেন্দ্র, ড্রাই-ওয়েট আলাদা সংগ্রহ, প্লাস্টিক সংগ্রহ অ্যাপ, এসব দ্রুত বাড়ছে। চীনে Plastic Pollution Action Plan অনুযায়ী নতুন প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানিতে কড়াকড়ি, স্থানীয় রিসাইক্লিং পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ, আর কোম্পানিকে হালকা ও সহজে রিসাইক্লযোগ্য প্যাকেজিংয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

বড় কোম্পানি, ডিজিটাল পাসপোর্ট ও নতুন রিসাইক্লিং প্রযুক্তি

নিয়ম যেমন শক্ত হচ্ছে, বড় বহুজাতিক কোম্পানিও ঝুঁকি কমাতে পণ্যকে নতুনভাবে ডিজাইন করছে। অনেক ইলেকট্রনিক ব্র্যান্ড এখন মডুলার ডিজাইন নিচ্ছে, যেখানে আলাদা অংশ, যেমন ব্যাটারি বা ক্যামেরা, সহজে বদলানো যায়। প্যাকেজিং কোম্পানি এক ধরনের প্লাস্টিক বা কাগজ বেশি ব্যবহার করছে, যাতে মেশানো উপাদান কমে।

Digital Product Passport ধারণা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। একটি কিউআর কোড স্ক্যান করলেই দেখা যাবে পণ্যে কী কী উপাদান আছে, তার কার্বন ফুটপ্রিন্ট কত, আর জীবন শেষে কীভাবে রিসাইক্লিং বা রিপেয়ার করতে হবে। এতে রিসাইক্লিং প্ল্যান্টে স্বয়ংক্রিয় মেশিন পণ্য চিনতে ও আলাদা করতে পারে, ফলে খরচ ও অপচয় দুটোই কমে।

পাশাপাশি, উন্নত প্লাস্টিক রিসাইক্লিং, যেমন কেমিক্যাল রিসাইক্লিং, আর নির্মাণখাতে কংক্রিট ও স্টিল পুনঃব্যবহার, এসব প্রযুক্তি নিয়েও কাজ চলছে, যাতে নতুন কাঁচামালের চাহিদা কমে এবং আইন মেনে চলতেও সুবিধা হয়।

ব্যবসা, কর্মসংস্থান ও ভোক্তার জন্য এর মানে কী

নিয়ম বদল মানে শুধু চাপ না, নতুন ব্যবসা, নতুন কাজ আর ভালো পছন্দের সুযোগও।

কোম্পানির জন্য: ডিজাইন বদল, খরচ বাঁচানো আর নতুন আয়

নতুন সার্কুলার নীতি না মানলে জরিমানা, লাইসেন্স ঝুঁকি আর সুনামের ক্ষতি, সব একসাথে আসতে পারে। আগে থেকেই প্রস্তুতি নিলে উল্টোভাবে লাভও বাড়তে পারে।

কিছু বাস্তব কৌশল:

  • পণ্যকে এমনভাবে ডিজাইন করা যাতে স্ক্রু দিয়ে খোলা যায়, পার্টস আলাদা করে বদলানো যায়
  • রিটার্ন, রিফিল বা রিইউজ সিস্টেম চালু করা, যেখানে গ্রাহক খালি প্যাক ফেরত দেয়
  • স্ক্র্যাপ বা উৎপাদন বর্জ্য থেকে সেকেন্ডারি প্রডাক্ট বানানো, যেমন অফকাট ফ্যাব্রিক থেকে ছোট এক্সেসরিজ
  • রিসাইক্লড কাঁচামাল ব্যবহারের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ানো

এসব করলে দীর্ঘমেয়াদে কাঁচামাল খরচ কমে, সাপ্লাই ঝুঁকি কমে, আর গ্রাহকের আস্থাও বাড়ে, কারণ তারা দেখে কোম্পানি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে।

কর্মসংস্থান ও ভোক্তা: নতুন স্কিল, ভালো পছন্দ আর ছোট ছোট পদক্ষেপ

রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট, মেটেরিয়াল রিকভারি সেন্টার, লোকাল রিপেয়ার শপ, রিফিল স্টেশন, সবখানেই নতুন দক্ষ জনবল লাগবে। ইঞ্জিনিয়ার আর ডিজাইনারদেরও এখন সার্কুলার ডিজাইন, লাইফসাইকেল অ্যানালাইসিসের মতো দক্ষতা শেখা জরুরি হচ্ছে।

আমাদের মতো ভোক্তাদের হাতে আছে কিছু খুব সহজ কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ:

  • সম্ভব হলে রিফিল বা রিইউজ প্যাক সিস্টেম বেছে নেওয়া
  • প্রডাক্টে রিসাইক্লিং চিহ্ন, রিসাইক্লড কনটেন্ট, বা রিপেয়ার অপশন আছে কিনা দেখা
  • ছোট সমস্যায় নতুন কিনে ফেলার আগে স্থানীয় রিপেয়ার শপে যাওয়া
  • বাসায় শুকনা ও ভিজা বর্জ্য আলাদা করা, প্লাস্টিক ও কাগজ পরিষ্কার করে রিসাইক্লিং বিনে দেওয়া
  • অকারণে অনলাইন রিটার্ন কমানো, কারণ এতে অতিরিক্ত প্যাকেজিং ও ট্রান্সপোর্ট লাগে

এগুলো শুনতে ছোট মনে হলেও, কোটি কোটি মানুষের আচরণ বদল মানে বাজার আর নীতি, দুটোই বদলে যায়।

উপসংহার: নিয়ন্ত্রণ থেকে বাস্তব পদক্ষেপের পথে

বিশ্বজুড়ে কড়া নিয়ম আর রিপোর্টিংয়ের চাপে সার্কুলার ইকোনমি এখন আর শুধু পরিবেশবান্ধব স্লোগান না, এটি একেবারে বাস্তব ব্যবসা নীতি। তুমি এখানে শিখলে সার্কুলার ইকোনমির মূল ধারণা, রিসাইক্লিং, রিইউজ, রিপেয়ারের সম্পর্ক, বড় অর্থনীতিগুলোর সাম্প্রতিক আইন ও নীতি, আর এসবের প্রভাব কোম্পানি, কাজের সুযোগ ও ভোক্তার ওপর।

শেষ কথা সহজ, আমরা সবাই এই চক্রের অংশ। আজ থেকে তুমি যদি কেনাকাটার সময় পণ্যের আয়ু, রিসাইক্লিং আর পুনঃব্যবহারের সুযোগ একবার ভেবে দেখো, তবেই পরিবর্তনের দিকে এক ধাপ এগোনো হবে। ছোট সিদ্ধান্ত মিলেই বড় সিস্টেমকে বদলায়, আর সেখানেই আমাদের শক্তি।

Post a Comment

0 Comments